,

দি জাপান হাসপাতালের পরিচালক আরিফ ও ডাঃ এস কে ঘোষসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা :: এফআইআরের আদেশ

 টিউমার অপসারণের সময় খাদ্যনালি, জরায়ু ও কিডনি উধাও’র অভিযোগ

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জে টিউমার অপসারণের সময় খাদ্যনালি, জরায়ু ও কিডনি উধাও করার ঘটনায় দি জাপান হসপিটালের পরিচালক, ডাঃ এস কে ঘোষসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর গণ্যে রুজু করতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে বড় বহুলা গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর পুত্র রহমত আলী বাদি হয়ে সাবেক মেম্বার কাঞ্চন মিয়ার পুত্র দি জাপান হাসপাতালের পরিচালক একে আরিফুল ইসলাম, কর্মরত গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. এসকে ঘোষ, এবং কাঞ্চন মিয়ার পুত্র তাবির হোসেন ও ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান জনি আহমেদ কে আসামি করে মামলা করেন।
ওই মামলার আইনজীবি এডভোকেট আব্দুল হাই জানান, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬ (৩) ধারা অনুসারে ওই চারজনের নামে মামলার এজাহার (এফআইআর) করতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছেন আদালত। ‘ভুল’ চিকিৎসায় মৃত্যুবরণকারী ওই নারীর নাম রহিমা খাতুন। তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল সোমবার ওই নারীর চাচাতো ভাই রহমত আলী আদালতে মামলার আবেদন করেন। বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সত্যতা আছে মর্মে মামলাটি আমলে নেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, পেটের টিউমার নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন রহিমা খাতুন। পরে দালালরা ভুল বুঝিয়ে তাকে দি জাপান-বাংলাদেশ হসপিটালে নিয়ে যান।
সেদিন রাতে এসকে ঘোষ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারীর পেট থেকে টিউমার অপসারণ করেন। সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এরপর রহিমা অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার দি জাপান-বাংলাদেশ হসপিটালে আসেন এবং সেখান থেকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকেও চিকিৎসকরা তাকে সিলেটে পাঠিয়ে দেন। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। সিলেটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে অভিযোগে বলা হয়, অপারেশনের সময় রহিমার খাদ্যনালি, জরায়ু কেটে ফেলা হয় এ ছাড়া বাম পাশের কিডনি না থাকায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে অবৈধভাবে চিকিৎসা পরিচালনার জন্য এর আগে দি জাপান-বাংলাদেশ হসপিটালের পরিচালক একে আরিফুল ইসলামকে আড়াই বছরের কারাদন্ড দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাছাড়া তার একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসার সাথে সাথে দালালদের খপ্পরে পড়ে অনেক রোগীরা ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ এর আগেও মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি রফাদফার মাধ্যমে সমাধান করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর